রাজধানীর সড়কে বিশৃঙ্খলভাবে চলছে শৃঙ্খলা ফেরানোর বাহন নগর পরিবহন। যাত্রী ওঠা-নামা করা হচ্ছে যত্রতত্র, মানা হচ্ছে না বেশির ভাগ নিয়ম। এমন অভিযোগের মধ্যে আরও অন্তত চারটি রুটে চালু হচ্ছে নগর পরিবহন। গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ শামসুল হক বলছেন, অপেশাদার সংস্থার কারণে এই প্রকল্প কার্যকর হচ্ছে না।
যদিও নিজেদের সফল বলছেন ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন।
দুই বছরের মাথায় এক থেকে এখন তিন রুটে চলছে ঢাকা নগর পরিবহন। ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর, ডেমরা, কদমতলীতে সবুজ রঙের এই বাস চলে প্রায় ১০০টি। যদিও কাগজ-কলমে বাস চলার কথা ১৭০টি।
সরেজমিনে দেখতে ডেমরামুখী ৪২ আসনের একটি বাসে যাত্রা করেন নিউজ টোয়েন্টি ফোরের এই প্রতিবেদক। কিন্তু ঘাটারচর থেকে মোহাম্মদপুর আসার আগেই শৃঙ্খলা ভাঙা শুরু হতে দেখন তিনি। গোটা বাসেই তিল ধারণের ঠাঁই নেই। চালকের গায়ে নেই ইউনিফর্ম, নেই ওষুধ রাখার বাক্সও।
রাস্তায় পুরোটা সময় খোলা রাখা হয় বাসের দরজা। যাতে কাউন্টার ছাড়াই ওঠা-নামা করতে পারেন যাত্রীরা। নেই ই-টিকিটিংয়ের বালাই। অথচ এই নগর পরিবহন নিয়ে প্রত্যাশা ছিল সব মানুষের।
গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ শামসুল হক বলেন, ব্যাকরণগত নানা ত্রুটির কারণে লোক দেখানো প্রকল্পে পরিণত হয়েছে নগর পরিবহন।
যদিও ঢাকা পরিবহন সমন্বিত কর্তৃপক্ষের দাবি, যাত্রীদের আগ্রহের কারণে লাভজনক প্রকল্পে পরিণত হচ্ছে।
বিপিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন জানান, আগামী দুই মাসের মধ্যে ঘাটারচর থেকে মিরপুর দিয়ে আবদুল্লাহপুর একটি আর বনানী দিয়ে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত আরেকটি রুটে নগর পরিবহন চালু হবে। এছাড়া মিরপুর থেকে সদরঘাট রুটে কমলা রঙের নগর পরিবহন চলবে চলতি বছরের মাঝামাঝিতে।